Saturday , August 9 2025

Section 6. Pecuniary Jurisdiction | আর্থিক এখতিয়ার

দেওয়ানী কার্যবিধি, ১৯০৮

(১৯০৮ সালের ৫নং আইন)

দায়িত্ব অব্যাহতি (Disclaimer): এটি শুধুমাত্র শিক্ষামূলক ও প্রশিক্ষণমূলক উদ্দেশ্যে প্রস্তুত করা হয়েছে। এখানে প্রদত্ত সকল তথ্য, দৃষ্টান্ত ও উপাত্ত বিজ্ঞ আইনজীবীদের পেশাগত পরামর্শের বিকল্প নয়।
দেওয়ানী কার্যবিধি, ১৯০৮ এর সূচীপত্রে ফিরে যান।

ধারার ইংরেজী ভার্সনঃ

Section 6. Pecuniary Jurisdiction:
Save in so far as is otherwise expressly provided, nothing herein contained shall operate to give any Court jurisdiction over suits the amount or value of the subject-matter of which exceeds the pecuniary limits (if any) of its ordinary jurisdiction.

ধারার বাংলা ভার্সনঃ

ধারা ৬। আর্থিক এখতিয়ারঃ
অন্যথা সুস্পষ্টভাবে বিধান করা না থাকিলে, ইহাতে অন্তর্ভুক্ত কোন কিছুই এমন কোন মোকদ্দমার উপর কোন আদালতকে এখতিয়ার প্রদান করিবে না যাহার বিষয়বস্তুর পরিমাণ বা মূল্য উহার সাধারণ এখতিয়ারের আর্থিক সীমা (যদি থাকে) অতিক্রম করে।

বিশ্লেষণাত্মক আলোচনা

ধারা ৬, যা আর্থিক এখতিয়ার (Pecuniary Jurisdiction) নিয়ে আলোচনা করে, এটি আদালতগুলোর ক্ষমতা নির্ধারণে একটি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ বিধান। সহজভাবে বললে, এই ধারাটি আদালতগুলোকে তাদের আর্থিক সক্ষমতার বাইরে কোনো মোকদ্দমা গ্রহণ করতে নিষেধ করে।
তাহলে এর মানে কী দাঁড়ায়?
এই ধারাটি বলছে যে, দেওয়ানি কার্যবিধি আইনে অন্য কোনো স্থানে যদি স্পষ্টভাবে ভিন্ন কোনো কথা বলা না থাকে, তবে এই আইন কোনো আদালতকে এমন কোনো মোকদ্দমার বিচার করার ক্ষমতা দেবে না, যে মোকদ্দমার বিষয়বস্তুর আর্থিক মূল্য (যেমনঃ সম্পত্তির মূল্য, দাবিকৃত অর্থের পরিমাণ ইত্যাদি) সেই আদালতের সাধারণ আর্থিক এখতিয়ারের সীমা ছাড়িয়ে যায়।
কয়েকটি সহজ উদাহরণঃ
১) ধরুন, একটি দেওয়ানি আদালতের আর্থিক এখতিয়ারের সীমা হলো ২৫ লক্ষ টাকা পর্যন্ত মোকদ্দমার বিচার করা। এখন যদি এই আদালতে ৩০ লক্ষ টাকা মূল্যের কোনো সম্পত্তির মালিকানা নিয়ে একটি মোকদ্দমা দায়ের করা হয়, তাহলে এই আদালত সেই মোকদ্দমাটি গ্রহণ করতে পারবে না। কারণ, মোকদ্দমার বিষয়বস্তুর মূল্য তার আর্থিক এখতিয়ারের সীমা (৫ লক্ষ টাকা) অতিক্রম করে গেছে।
২) যদি কোনো ব্যক্তি ২০ লক্ষ টাকা পাওনা আদায়ের জন্য মোকদ্দমা করেন এবং যে আদালতে মোকদ্দমাটি দায়ের করা হয়েছে, সেই আদালতের আর্থিক এখতিয়ার ২৫ লক্ষ টাকা পর্যন্ত হয়, তাহলে আদালত সহজেই মোকদ্দমাটি গ্রহণ করতে পারবে।
মূল বিষয় যা মনে রাখতে হবেঃ
আর্থিক এখতিয়ার (Pecuniary Jurisdiction): এটি হলো আদালতের সেই ক্ষমতা যা তাকে একটি নির্দিষ্ট আর্থিক মূল্যের মোকদ্দমার বিচার করার অনুমতি দেয়। প্রতিটি দেওয়ানি আদালতেরই সাধারণত একটি নির্দিষ্ট আর্থিক সীমা থাকে।
“অন্যথা সুস্পষ্টভাবে বিধান করা না থাকিলে”: এই কথাটির অর্থ হলো, যদি দেওয়ানি কার্যবিধি আইনের অন্য কোনো ধারায় বা অন্য কোনো বিশেষ আইনে স্পষ্টভাবে কোনো আদালতকে তার সাধারণ আর্থিক সীমা অতিক্রম করে মোকদ্দমা বিচার করার অনুমতি দেওয়া হয়, তবে সেই ক্ষেত্রে এই ধারা ৬ প্রযোজ্য হবে না। কিন্তু এমন বিশেষ বিধান খুবই বিরল।
মূলত, ধারা ৬ এর উদ্দেশ্য হলো, আদালতগুলো যেন তাদের নির্ধারিত ক্ষমতার বাইরে কোনো মোকদ্দমা গ্রহণ করে বিচার ব্যবস্থাকে বিঘ্নিত না করে। এটি দেওয়ানি বিচার ব্যবস্থার একটি সুশৃঙ্খল পরিবেশ বজায় রাখতে সাহায্য করে।
বার কাউন্সিল পরীক্ষার প্রস্তুতিমূলক কোর্স দেখতে এখানে ক্লিক করুন!
আয়কর ও ভ্যাট ট্রেনিং এর কোর্স দেখতে এখানে ক্লিক করুন!

লক্ষ্য করুনঃ আইনের শিক্ষার্থীরা এবং সাধারণ পাঠকরা প্রায়ই The Code of Civil Procedure, 1908-কে বিভিন্নভাবে যেমনঃ CPC 1908, Code of Civil Procedure 1908, The Civil Procedure Code 1908, অথবা Civil Procedure Code 1908 নামে খোঁজেন। এই ভিন্ন নামগুলো সম্পর্কে ধারণা থাকলে খোঁজার সময় ভুল বোঝাবুঝি এড়ানো সম্ভব। এছাড়াও, অনেকে Laws of Bangladesh ওয়েসাইটে প্রবেশ করে এই আইনটি খোঁজ করেন।

আপনার মূল্যবান মন্তব্য লিখুনঃ

Your email address will not be published. Required fields are marked *